চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ):: সুনামগঞ্জের ছাতক রেল বিভাগের ইলেক্ট্রিক গুদামে চুরির ঘটনা নিয়ে কেউ মূখ খুলছেনা। যদিও চোরদের ব্যাপক মারধোরে গুরুতর আহত নাইট গার্ডকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরও রেল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারনে পুরো বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। জান যায়, ছাতকবাজার রেল বিভাগের রোপওয়ের আনলোডিং বাঙ্কার সংলগ্ন ইলেক্ট্রিক গুদামে নাইড গার্ড হিসেবে কর্মরত আছেন পৌরসভার লেবারপাড়া গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র আফিক মিয়া। গত ৪সেপ্টেম্বর রাতে ডিউটি করার একপর্যায়ে রাত প্রায় ৪টায় মূখে মূখোশ পরিহিত ৬জন লোক আফিক মিয়াকে ধরে গুদামের চাবির জন্যে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মূখ ও হাত-পা বেঁধে গুদামের তালা ভেঙ্গে ১৪টি ফ্যান, ইলেক্ট্রিক মোটর, কয়েকটি জেনারেটর, প্রচুর পরিমানে এলুমোনিয়ামের তারসহ দু’লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। ফজরের নামাজের পর সুরমা নদীর ফেরির ড্রাইভার আশরাফ আলী রোপওয়ের আনলোডিং বাঙ্কার এলাকায় আসলে বাঁচাও, বাঁচাও শব্দ শুনতে পান। এসময় আফিক মিয়াকে চিনতে পেরে তার ভাতিজা ও লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরী ফেরিঘাটের হোটেল ব্যবসায়ি সুহেল আহমদকে ঘটনা জানান। পরে আফিজ মিয়ার সহোদর রফিক মিয়া ও সুহেল আহমদসহ স্থানীয় লোকজন এসে তাকে সিলেট সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ৭সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে সে বাড়িতে চলে আসে। ৮সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে দেখা করতে গেলে আফিক মিয়া জানায়, প্রত্যহ রাত ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এগুদামে তাকে ডিউটি করতে হয়। ৪সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের প্রায় ৪টায় ৬জন মূখোশধারী তাকে ব্যাপক মারধোর করে হাত-পা বেঁধে একদিকে ফেলে রাখে। তবে গুদামে কি মালামাল ছিল ও গুদামটি চুরি হয়েছে কিনা এব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। ছাতক রেলওয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রতিশ পাল জানান, গুদামটি চুরি হলেও কোন মালামাল নেয় নাই।